কৃষি বাঁচলে, দেশ বাঁচবে কৃষক মাঠ দিবসে- জিয়াউর রহমান, এমপি

0
10

সারওয়ার জাহান সুমন, গোমস্তাপুরঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর আওতায় পরিবেশবান্ধব কৃষক মাঠ স্কুলের মাঠ দিবস ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার ২৮ এপ্রিল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বিকেল চারটায় উপজেলার রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের পীরপুর দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আই পি এম মাঠ কৃষক স্কুলের নিরাপদ ও পুষ্টিকর সবজি সহ রাসায়নিক সার ছাড়াই ফসল উৎপাদনের প্রক্রিয়া ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ৬টি প্রদর্শনী স্টল উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান। স্টল পরিদর্শন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সভাপতি, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং সভাপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমান।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক সারওয়ার জাহান সুমনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা আওয়ামীলীগ জামাল উদ্দিন মন্ডল, রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, পীরপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপার, তাইজুদ্দিন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, কৃষি আমাদের দেশের সমৃদ্ধির অন্যতম উৎস। এই কৃষিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আমাদের গ্রাম বাংলার কৃষক। কৃষক বাঁচলে – কৃষি বাঁচবে। কৃষি বাঁচলে – দেশ বাঁচবে।

বন্যা, খরা কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ই দমাতে পারেনি আমাদের কৃষকদের। কৃষি সহ সকল ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। যা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কারণে। অপরদিকে সভাপতি তার বক্তৃতায় বলেন, উন্নয়নের সারথি কৃষি এবং কৃষক।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও কৃষি কাজ করতে পছন্দ করেন। তিনি নিজেও শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজ বাসভবনে চাষ করেছেন বিভিন্ন প্রজাতির ফসল সহ গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন খামার। আমাদেরও উচিত নিজ বাড়ির ফাঁকা অংশে কিংবা টবে বিভিন্ন প্রজাতির শাকসবজি সহ অন্যান্য ফসল চাষ করা।

নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন, প্রান্তিক কৃষকের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ দেশের কৃষিকে নিয়ে গেছে আজ অনন্য উচ্চতায়। তাই আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আলোচনা শেষে কৃষক ইব্রাহিম খলিল, ফিরোজ আলী ও রোজিনা খাতুন এর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠান অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রতিনিধি, সুধীজন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, আই পি এম মাঠ স্কুলের শিক্ষার্থী, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কৃষক- কৃষাণী সহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে